বর্ষবরণকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মেতেছে বন্দরনগরী


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০১:২৩ পিএম, ২০২২-০৪-১৪

বর্ষবরণকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মেতেছে বন্দরনগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরণকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মেতেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। নেচে-গেয়ে, কবিতা আবৃত্তি, মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানান অনুষ্ঠানমালার মধ্যে দিয়ে চলছে নতুন বছরকে বরণ।

বৃহস্পতিবার  ভোর ৬টায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয় নগরীর ডিসি হিলে । সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব, সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’। সকাল থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যদের অংশগ্রহণে মেতে উঠেছে ডিসিহিল প্রাঙ্গণ। সকাল থেকে এখানে বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম ঘটেছে। এ অনুষ্ঠানস্থলের প্রায়  অাধা কিলোমিটার অদূরে সিআরবির শিরীষ তলায়ও চলছে বর্ষবরণের অনুষ্টানমালা। এখানে সকাল সাতটায় সম্মিলিত দলীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শুরু বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। এরপর গান, নিত্যে অংশ নেয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। শিরীষতলায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে নববর্ষ উদযাপন পরিষদ।  এখানে সকাল থেকে সব বয়সী মানুষের সমাগম ঘটেছে। 
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এর আগে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে শুরু হয় মঙ্গলশোভাযাত্রা। এটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে এমএন আলী সড়ক পদক্ষিণ করে পুনরায় শিল্পকলায় গিয়ে শেষ হয়। 

সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যাগে শুরু হয় মঙ্গলশোভাযাত্রা। এটি বাদশা মিয়া রোডের ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে পুর্ণরায় ক্যাম্সাসে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে চলছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।

গত দুই বছর করোনা মহামারির কারনে চট্টগ্রামে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়নি। এ বছর পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে ঘিরে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে নগরবাসী। 

এদিকে নগরীর পাশাপাশি জেলার ১৫টি উপজেলায় চলছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। মঙ্গলশোভাযাত্রা ও নেচে-গেয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছে।

এদিকে নগরীতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে অনুষ্ঠানস্থলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এর আগে গত বুধবার বর্ষবরনের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুচরিত দাশ খোকন  জানান, সকাল ৭টায় আমাদের নির্ধারিত অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। গান, নাচ, আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করা হচ্ছে।  এবার এখানে ৩২টি সংগঠন পারফর্ম করছে। 

​​​​​​