চট্টগ্রামে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় দখল 


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১১:০৭ এএম, ২০২৪-০৩-২৮

 চট্টগ্রামে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় দখল 

নিজস্ব প্রতিবেদক : 


চট্টগ্রামে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় দখল ও ধ্বংসের মহোৎসব। কথিত ব্যক্তি মালিকানার পাহাড় থেকে শুরু করে খোদ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পাহাড়ে চলছে অবাধে ধ্বংসযজ্ঞ। জেলা প্রশাসন বলছে, পাহাড় দখলে রাখা প্রতিষ্ঠান আন্তরিক না হওয়ায় রোধ করা যাচ্ছে না আগ্রাসন। আর পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, প্রশাসনের এক দফতর অন্য দফতরের ওপর দায় চাপিয়ে খাতাকলমে পার পেলেও প্রকৃতি ধ্বংসের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

 

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা, খুলশী, পাহাড়তলী, আকবরশাহ থানা এলাকায় চলেছে পাহাড় কাটার উৎসব। এর সাথে জড়িত এলাকার কিছু চিহ্নত অপরাধী। এছাড়াও যুক্ত আছে জনপ্রতিনিধি, পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। 

সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর এলাকার বিশাল এই পাহাড়ি এলাকার মালিক চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কয়েক হাজার পাহাড় খেকো একত্রিত হয়ে দখলে নিয়েছে অন্তত ৩০ হাজার একর পাহাড়ি জমি। দিনে রাতে সমানতালে চলছে প্রকৃতি ধ্বংস। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চললেও তার স্থায়ীত্ব হয় কয়েক ঘন্টা।

ফৌজদারহাট থেকে বয়েজিদ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার লম্বা সড়ক তৈরী করতে ১৮টি পাহাড় নির্বিচারে ধ্বংস করে ডিডিএ। কয়েক বছর ধরে পাহাড় কাটলেও শেষে এসে দুই কোটি টাকা জরিমানা করে দায় সারে পরিবেশ অধিদফতর। যদিও ৫ বছরে সে টাকাও আদায় করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এতে ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মীরা।  

 

পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, জেলা প্রশাসন ও পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে বড় পাহাড় খেকোদের তালিকা করা হয়েছে। কারো কারো বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে কিন্তু বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন না হওয়ায়, বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না চলমান ধ্বংসযজ্ঞ। জেলা প্রশাসক বললেন, দখল হওয়া এমন কোন পাহাড় নেই যেখানে অভিযান চালায়নি প্রশাসন। কিন্তু মালিকানার দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান আন্তরিক না হওয়ায় রক্ষা করা যাচ্ছে না প্রকৃতিক সম্পদ।

 

মতিঝর্ণা এলাকার বিশাল এই পাহাড়টিসহ নগরজুড়ে ছোট-বড় অন্তত ২ শতাধিক পাহাড়ের মালিক রেলওয়ে পুর্বাঞ্চল। কিন্তু সবকটি পাহাড়ের চিত্র একই। সর্বত্রই চলছে দখলের রাজত্ব।