কবিতা মানুষকে সৌন্দর্যের পথে নিয়ে যায়


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১০:৫৭ এএম, ২০২৪-০২-১৪

কবিতা মানুষকে সৌন্দর্যের পথে নিয়ে যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সকল সুন্দরের শ্রেষ্ঠ সুন্দর হলো কবিতা। কবিতা মানুষকে সৌন্দযের্র পথে নিয়ে যায়। কবিতার ভিতর দিয়ে মানব জাতির বিবর্তনের ইতিহাস জানা যায়। যে কোনো অনন্য সৃজনের স্রষ্টা মাত্রই একেকজন শ্রেষ্ঠ কবি। কবি উপাধিটি সমাজের কীর্তিমান মানুষদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের স্বীকৃতি।

মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় সিআরবি শিরীষতলায় আয়োজিত অমর একুশে বই মেলা মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। 

তিনি বলেন, দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে, এখন আমাদের সমাজ ও সাহিত্যের উন্নতি দরকার। আমরা জাতি হিসেবে দিন দিন লোভাতুর হয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের ভাবতে কষ্ট হয়, আমরা ভাষা আন্দোলন করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি কিন্তু লোভ ছাড়তে পারছি না। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর নানা সংকটকালে আমাদের কবিদের অবস্থান ছিল প্রগতির পক্ষে।

আবুল মোমেন বলেন,বাংলাদেশের কবিতার মূলধারা গণ-আন্দোলন, প্রতিবাদ ও মিছিলের উষ্ণ সহচার্যে বেড়ে উঠেছে। বাংলা কবিতা তাই শিল্পে, প্রতিবাদে ও মানবিক বোধে দীপ্র। মানব সভ্যতার বিকাশ ও বিনির্মাণে কবিতার অবদান অসামান্য। বাঙালির বিবর্তনজাত বিজয়ের অনেক যুক্তির মধ্যে প্রধানতম যুক্তি হলো, স্মরণপূর্ব কাল থেকে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে বাঙালি টিকে আছে নিদেনপক্ষে তার ব্যক্তি পরিচয়ে। তার প্রথম অস্ত্র ভাষা, যা তার মায়ের মুখ থেকে শেখা। দ্বিতীয় অস্ত্র সদাচার এবং তৃতীয় অস্ত্র সংঘবদ্ধতা, যা তার পরিবার বা সমাজ তাকে শিখিয়েছে। এ সমন্বিত অস্ত্রটি বাঙালি প্রয়োগ করেছে তার সত্যস্বরে উচ্চারিত প্রতিটি মুক্তশব্দ তথা কবিতা দিয়ে। স্মরণপূর্ব কাল থেকে এ সৃষ্টিশক্তির সম্মিলিত সাহসে এগিয়েছে ব্যক্তি বাঙালি ও জাতি বাঙালি। একইসঙ্গে এগিয়েছে তার সচেতন গণইতিহাস। জেলার কবিরা সাধারণভাবে প্রচারের আলোর বাইরে থাকেন। কিন্তু বাংলা কবিতায় তাঁদের অনেকেরই উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। এঁদের কবিতা আরও বেশি করে পাঠকের সামনে পৌঁছে দিতে প্রকাশকসহ সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তিনি। 

কবিতা ও আবৃত্তি উৎসবে আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক সভাপতি ও সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক ও কবি ফাউজুল কবির। আলোচনা সভা শেষে কবি ও আবৃত্তি শিল্পীরা তাঁদের স্বরচিত কবিতা এবং আবৃত্তি শিল্পীরা অমর একুশের বিভিন্ন কবিতার মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি পরিবেশন করেন। 

আজ বুধবার বই মেলা মঞ্চে বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় মীরাক্কেলখ্যাত আরমান উপস্থিত হয়ে তাঁর পারফরম্যান্স উপস্থাপন করবেন।