সময় ডেস্ক : | ১০:৩৮ এএম, ২০২৪-০৬-০৬
সময় ডেস্ক :
সব প্রক্রিয়া ঠিকভাবে করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জাতীয় সংসদে। আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু এক সম্পূরক প্রশ্নে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর ব্যর্থতা কার সে বিষয়ে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। অনেকেই যেয়ে থাকে। কিছু লোক দালালের মাধ্যমে করে, দালালের মাধ্যমে যেতে চায়। যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায়। এতে সমস্যা তৈরি হয়।
মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সে দেশে যাওয়ার অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবেশের শেষ দিন ছিল ৩১ মে। এই সুযোগে কিছু এজেন্সির যোগসাজশে এই রুটে ভাড়া ৩০ হাজার টাকা থেকে কয়েক গুণ বেড়ে লাখ টাকার বেশি হয়ে যায়। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেকে গত শুক্রবার সকাল থেকে বিমানবন্দরে জড়ো হন। সংকট লাঘবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করে। কিন্তু তাতে সর্বোচ্চ ২৭১ জন যাত্রীর মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ মেলে। দিনভর অবস্থান করে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে রাতে কয়েকশ মানুষ বিমানবন্দর থেকে ফিরে যান।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। ২১ মের পর অনুমোদন দেওয়ার কথা না থাকলেও মন্ত্রণালয় এর পরেও আরও ১ হাজার ১১২ জনকে অনুমোদন দেয়। বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, অনুমোদন পেয়েও ৩১ হাজার ৭০১ জন মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দায়ীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার কথা বলেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার বিশেষ ফ্লাইট চালু করার কথা সংসদে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ ফ্লাইট, অন্যান্য ফ্লাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে সবাইকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বাদ পড়ে গেছে। বাদ পড়ার কারণ কী সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যখনই আমরা আলোচনা করে ঠিক করি কত লোক যাবে, কীভাবে যাবে, তখনই দেখা যায় আমাদের দেশের এক শ্রেণির লোক, যারা জনশক্তির ব্যবসা করে, তারা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। এদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও সংযুক্ত আছে। যার ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। প্রতিটি বারই যখন সরকার আলোচনা করে সমাধানে যায়, তখনই কিছু লোক ছুটি যায়, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যারা যায় তাদের কাজের ঠিক থাকে না, চাকরিও ঠিক থাকে না, বেতনের ঠিক থাকে না, সেখানে গিয়ে বিপদে পড়ে। এটা শুধু মালয়েশিয়া না, অনেক জায়গায় ঘটে।
শেখ হাসিনা বলেন, বার বার আমি দেশবাসীকে বলেছি জমিজমা, ঘরবাড়ি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করার দরকার নেই। যদি দরকার হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে। প্রয়োজনবোধে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হয়। সেখানে তাকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে সে যে যাচ্ছে তার চাকরিটা সুনির্দিষ্ট কিনা, এটা হলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে। তারপরও আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, কে আগে যাবে, সেই দৌড় দিতে যেয়ে হাতা–খাতা, বাড়ি–ঘর সব বিক্রি করে, তারপরে পথে বসে। অথবা সেখানে যদি চলেও যায় বিপদে পড়ে। মানুষকে বলেছি এভাবে না যেতে। সোজাসুজি নিয়ম মানলে এ বিপদের সৃষ্টি হয় না। তবে এবার যে সমস্যা হচ্ছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি, কেউ দায়ী থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-এম/এন-
সময় ডেস্ক : : সময় ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা...বিস্তারিত
সময় ডেস্ক : : ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) জন্য আজ (সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি) ...বিস্তারিত
সময় ডেস্ক : : সময় ডেস্ক :গাজীপুর থেকে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের স...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2025 প্রিয় সময় | Developed By Muktodhara Technology Limited