সময় ডেস্ক : | ১০:৪৯ এএম, ২০২৪-০২-০৫
ডেস্ক রিপোর্ট :
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল রবিবার রাতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা জানানো হয়েছিল ৬৮ জন। সোমবার সকালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫ জনে।
গতকাল রাতে বিজিবি জানিয়েছিল, রাত পর্যন্ত ৬৮ বিজিপি সদস্য অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের বেশি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন, দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। তারা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া রবিবার থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত নতুন করে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৭ জনের কতজন আহত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শরিফুল ইসলাম বলেন, “রবিবার দিনভর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও বিজিপির মধ্যে গোলাগুলি অব্যাহত ছিল। এতে সংঘর্ষের জেরে রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা বিজিবির কাছে আশ্রয় চাইলে হেফাজতে নেয়। বিজিবি তাদেরকে (বিজিপি) নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। বিজিপির আহত সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, “মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপির দুই সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। চিকিৎসাধীন ওই দুই সদস্য হলেন- রি লি থাইন (২২) ও জা নি মং (৩০)।”
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আহত অবস্থায় বিদ্রোহী আরাকান আর্মির ছয় সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আহতরা রাখাইন রাজ্যের বুচিডং, টাংগো এবং ম্রাউ এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দুইজনের বয়স ২৪, দুইজনের ২৩, একজনের ২০ এবং বাকি একজনের ২২ বছর।
তবে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়সার হামিদ বলেন, “এ ধরনের কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।”
অন্যদিকে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত ২টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরের ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে আজ সকাল থেকে গোলগুলির কোনো শব্দ শোনা যায়নি।
পালংখালীর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “সীমান্তে আমার এলাকার বাসিন্দারা আতংকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। সকালে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও মানুষের মাঝে এখনও আতংক কাটেনি।”
তবে সোমবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে ২/৩ টির গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম।
বিনোদন ডেস্ক: : ডেস্ক রিপোর্ট : বিয়েতে আরোপিত কর বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ...বিস্তারিত
সময় ডেস্ক : : সময় ডেস্ক :আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা আগামী ফেব্রু...বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক: : সময় ডেস্ক : প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একে বাংলাদেশে...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2025 প্রিয় সময় | Developed By Muktodhara Technology Limited