রাউজানে সোনালী আমন ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভূর প্রান্তিক কৃষক

১২হাজার ১০ হেক্টর জমিতে চাষবাদ

প্রতিনিধি :    |    ০৫:১৬ পিএম, ২০২৩-১১-০৫

 রাউজানে সোনালী আমন ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভূর প্রান্তিক কৃষক


প্রদীপ শীল, রাউজানঃ
চট্টগ্রামের রাউজানে মাঠে মাঠে দোলছে আমন সোনালী ধান। সোনালী ধানে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। ধান কাটা শুরু করেছে কৃষক কৃষাণি। মাঠ জুড়ে থাকা সোনালী আমন ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভূর প্রান্তিক কৃষকরা।
রাউজানের ১৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের উঁচু এলাকায় ইতিমধ্যে পাকা আমন ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকেরা। কৃষকেরা কোমরে গামছা বেঁধে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। তবে অগ্রহায়ণ মাস পড়লেই পুরোদমে আমন ধান-মাড়াই শুরু করবেন তারা।
কৃষকেরা জানান, এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হলেও পাকা আমন ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। পাকা আমন ধান পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করেও পোকার আক্রমন থেকে রেহাই পায়নি পাকা আমন ধান। আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকেরা প্রথমে আনন্দিত হয়। কিন্তু পাকা ধানে পোকার আক্রমনে ক্ষতি হওয়ায় কৃষকের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়।
উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের কলমপতি এলাকার কৃষক সেলিম উদ্দিন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে আমন ধানের চারা রোপন করতে হয়েছে সেচের পানির মাধ্যমে। পরবর্তী অকাল বৃষ্টি ও সৃষ্ট বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে আমন ধানের চাষাবাদ রক্ষা করেছি। জমিতে ধানের ফলন ভাল হয়েছিল। ধান পাকা শুরু হলে গুনগুনি নামক পোকা আক্রমন শুরু হয়। পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক দিলেও পোকার আক্রমনে থেকে ধান রক্ষা করতে পারি নাই। এতে সব আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। তিনি ৫ একর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন বলেও জানান।
রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুম কবির জানান, এবার রাউজানে আমনের চাষবাদ হয়েছে ১২হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে ২৮০ হেক্টর জমিতে। উফসী জাতের আমন হয়েছে ১১ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের আমন হয়েছে ১৯০ হেক্টর জমিতে। এই বছর ১২ হাজার ১০ হেক্টর জমি থেকে ৫৯ হাজার ৩৪৮ মেট্রিক টন শুকনা ধান উৎপাদন হবে। তবে এরমধ্যে মাঠে কাঁচা ধান রয়েছে ৬ হাজার ৫৪৮ মেট্রিক টন। গত বছর আমন চাষ হয়েছে ১১হাজার ৮১০হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে ১৭০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১৯০ হেক্টর, উফসী জাতের ১১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। ১১ হাজার ৮১০ হেক্টর জমি থেকে ৫৩ হাজার মেট্রিক টন শুকনা ধান উৎপাদন হয়েছিল। তিনি আরও জানান, এবছর আমনের  ফলন হয়েছে ভাল। ইতিমধ্যে কৃষকেরা কিছু কিছু জমি থেকে পাকা আমন ধান কাটা শুরু করছে। এখনো পুরোদমে ধান কাটা শুরু করেনি কৃষকেরা। অগ্রহায়ণ মাসে পুরোদমে আমন ধান কাটা এবং মাড়াই শুরু করবেন তারা।